Logo
Logo
×

সারাদেশ

দলিলে উৎসে কর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

টঙ্গীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় কমে গেছে

Icon

টঙ্গী পূর্ব (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

টঙ্গীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি ক্রয়-বিক্রয় কমে গেছে

জমির দলিলের উৎসে কর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আওতাধীন এলাকায় (গাছা, টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম ও পূবাইল) জমি ক্রয়-বিক্রয় একেবারে নেই বললেই চলে। এসব এলাকার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

গাছা, টঙ্গী পূর্ব, পশ্চিম ও পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার অবস্থান গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় হওয়ায় এখানে জমি কেনাবেচার পরিমাণ অনেকাংশে বেশি হওয়ার কথা। কারণ ঢাকার অদূরে এই এলাকাটি নগরায়নের ছোঁয়া পেয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসায় আবাসন ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে এখানে। শুধু তাই নয়, দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। কিন্তু বর্তমানে পূবাইল থানা বাদে ৯৩টি মৌজায় কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা উৎসে কর আরোপ করায় জমি কেনাবেচার পরিমাণ ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে।

এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এবং চলতি অর্থবছরের রাজস্বের পরিমাণ বিগত সময়ের চেয়ে অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কিছু হেবা দলিল ও দায় মোচন (রিডামশন) দলিল সম্পাদনের মধ্যেই টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রয়েছে। উৎসে কর বেশি হওয়ায় এই এলাকায় জমি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। আগে যারা এখানে জমি কিনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও আবাসন গড়ার আগ্রহ দেখাতেন তারা এখন রেজিস্ট্রি খরচের ভয়ে এই এলাকায় জমি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এতে করে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, একই সঙ্গে উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী।

টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করার জন্য ৪ কাঠা জমি বিক্রয় করতে চেয়েছিলাম কিন্তু কাঠাপ্রতি উৎসে কর বৃদ্ধি পাওয়ায় জমি ক্রয়-বিক্রয় করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: টঙ্গীতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি বেচা-কেনা বন্ধের পথে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার


এ বিষয়ে টঙ্গী দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন বকুল বলেন, গত বছরের ২২জুন থেকে জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উৎসে করে সরকারের পক্ষ থেকে একটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত বছরের ৩ অক্টোবর জমির দলিলের ওপর উৎসে কর আরোপ করা হয় কাঠাপ্রতি ৮০ হাজার টাকা। পরে ৩০ নভেম্বর একটি সংশোধনী এনে কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করা হয়। জমির উৎসে কর বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে টঙ্গী সাব রেজিস্ট্রি অফিসের আওতাধীন এলাকায় জমির ক্রয়-বিক্রয় একেবারেই কমে গেছে। 

টঙ্গী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান টুটুল বলেন, উৎসে কর বেড়ে যাওয়ায় গাছা পূবাইল ও টঙ্গী এলাকায় জমি বেচাকেনা বন্ধের পথে। মানুষ তার প্রয়োজনে জমি বিক্রি করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, সাব কবলা দলিল আগের চেয়ে কম হচ্ছে। তবে হেবা দলিল ও দানপত্র দলিল হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম