Logo
Logo
×

সারাদেশ

পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক’কে কুপিয়ে হত্যা

Icon

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম

পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক’কে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনেই একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল কুদ্দুস ওই গ্রামের মৃত মিনাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন বাঁশ ও কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।

দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ও জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই দফায় সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস (৫২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

রোববার দুপুরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিংগাইর থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের সিরাজপুর হাটের উত্তর পাশে আবুল কালামের নেতৃত্বে মিলন, জুবায়ের, আব্দুল আলীম, রাসেল, জব্বার, হারুনসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ শাহিনুর ও ফারুকের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলাকারীদের দায়ের কোপে শাহিনুরের বাম পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ও ফারুক জখম হন। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সংঘর্ষের খবর পেয়ে শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুস সালাম মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন। তার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় আটিপাড়া মসজিদের সামনের পাকা রাস্তায় ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুসের ওপর আবারো হামলা করেন তারা। এ সময় তাদের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন। কুদ্দুসকে বাঁচাতে বোন জাবেদা এগিয়ে গেলে তিনিও রক্তাক্ত জখম হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষের প্রথম ঘটনায় শাহানা ইসলাম বাদী হয়ে আবু কালামকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে ওই মামলার ১০নং আসামি মৃত রতনের ছেলে হারুনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে দ্বিতীয় ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

খুন হওয়া কুদ্দুস সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থক। অপরদিকে হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী মমতাজ বেগমের সমর্থক বলে জানা গেছে। নিহতের পরিবার ও স্বজনদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা হয়েছে।

আহত জাবেদা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না।

সিংগাইর থানার অন্তর্গত শান্তিপুর (বাঘুলি) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, কোনোভাবেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারিনি। আমাদের কথা না শোনায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ওসি ও সার্কেল স্যার অবগত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম