কোম্পানির ওষুধ না লেখায় নারী ডাক্তারের ওপর হামলা, আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯ পিএম
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় নারী ডাক্তারের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা জুলহাস মাদবরসহ তিনজনের নামে ডামুড্যা থানায় মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর, একটি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ শহিদুল ও আব্দুল রাজ্জাক কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লিখন মাদবরসহ অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে রিপ্রেজেন্টেটিভ শহিদুল হাসপাতালের ডাক্তার নুসরাত তারিন তন্নীর স্বামীকে তার কোম্পানির ওষুধ লেখার জন্য স্ত্রীকে বলতে বলেন কিন্তু তিনি বলেননি। এ বিষয় নিয়ে রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্ষুব্ধ হয়ে বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবরকে জানান।
পর দিন জুলহাস মাদবর বিষয়টি জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে ডা. নুসরাত তারিন তন্নী ও তার ওপর হামলা করেন। পরে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
ডা. নুসরাত তারিন তন্নী বলেন, আমি রাতে হেঁটে বাসায় আসছিলাম। হঠাৎ করে পিছন থেকে জুলহাস মাদবর নামের একজন আমাকে পেছন থেকে ডাকে, আমি দাঁড়িয়ে যাই। সঙ্গে রিপ্রেজেন্টেটিভসহ আরও কয়েকজন ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ওপর হামলা করে। এ সময় আমার চিৎকার শুনে আমার স্বামী আমাকে বাঁচাতে আসে। এর আগেই আমাকে কিল ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি নারী ডাক্তার হয়ে জীবনের নিরাপত্তায় ভুগছি।
মামলার বাদী তন্নীর স্বামী ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (রাফি) বলেন, আমার স্ত্রীকে শহিদুলের কোম্পানির ওষুধ লেখার জন্য বলতে বলেন; কিন্তু আমি সেটা বলতে পারব না বলি। সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। গ্রামে যদি ডাক্তারদের ওপর এভাবে হামলা চালানো হয় তাহলে গ্রামে কিভাবে ডাক্তাররা থাকবে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
ডামুড্যা থানার ওসি এমারত হোসেন বলেন, ডাক্তারের ওপর হামলার ঘটনায় ডাক্তার তন্নীর স্বামী রাফি তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।