Logo
Logo
×

সারাদেশ

লাভের আশায় অপরিপক্ব আলু তুলছেন চাষিরা

Icon

মাহবুব রহমান, রংপুর

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম

লাভের আশায় অপরিপক্ব আলু তুলছেন চাষিরা

ফাইল ছবি

লাভের আশায় অপরিপক্ব আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন রংপুরের চাষিরা। এতে চলতি মৌসুমে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ নিয়ে সংশয়ে আছেন হিমাগার কর্তৃপক্ষ। আর হিমাগারে আলু না রাখা গেলে আগামী দিনে আলুর দাম আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা। এ কারণে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে যাতে তারা অপরিপক্ব আলু না তুলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগরীসহ জেলার আট উপজেলা ও রংপুর অঞ্চলের নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট জেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। এ বছর রংপুর অঞ্চলে ৯৮ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সে হিসাবে ২ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে আলুচাষ বেড়েছে। এ বছর রংপুর জেলায় ৫৩ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে, যা এ অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আলু তোলা হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমির।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, রংপুর অঞ্চলে বাম্পার ফলন হয়েছে। এরপরও লাভের আশায় চাষিরা অপরিপক্ব আলু তুলে বিক্রি করে দিচ্ছেন। বিষয়টি আলু সংরক্ষণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে অপরিপক্ব আলু না তুলেন।

রংপুর নগরীর খোর্দ্দ তামপাটের চাষি সিরাজুল ইসলাম শিকদার বলেন, এবার ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এর মধ্যে দুই বিঘার আলু তুলে বিক্রি করেছি। গত বছর আলুখেত থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছি। পরে ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে খেতে হয়েছে। সেই তুলনায় এবার আলুখেতেই ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করা যাচ্ছে। এতে ভালো লাভ হচ্ছে।

সদরের জানকী রামজীবন এলাকার মনজুরুল ইসলাম বলেন, আলুর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে, তবে গতবারের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে। আলু তুলতে শ্রমিকরা এবার বেশি টাকা নিচ্ছেন। তারপরও লাভ হবে। তার মতো নগরীর তামপাট, সদরের পালিচড়া, শ্যামপুর ও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কয়েকজন চাষি একই কথা জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম