মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিদ্যালয় বন্ধের সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের জেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয় খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও বিদ্যালয় খোলা রাখাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কর্তৃপক্ষ। তবে জেলার প্রায় ১২০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন বলেন, সরকারের জারিকৃত নির্দেশনা মোতাবেক তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় গত ১৮ জানুয়ারি প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ দেওয়া হয়। এখনো তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ২৮ তারিখের (রোববার) স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়ে ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) জেলার সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম জানান, তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাপমাত্রা কম থাকলেও গত দুদিন ধরে দিনে সূর্যের আলো সকাল ৮টার পর থেকে দেখা দেওয়ায় এবং সূর্যের উত্তাপ থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত ১২ দিন থেকে আবহাওয়া ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকছে। সোমবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া এ মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত তাপমাত্রা নিম্নগামী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তারপর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া জানায়, তীব্র ঠান্ডার কারণে স্কুল বন্ধ ছিল। ঠান্ডা কমে যাওয়ায় স্কুল খুলেছে। ঠান্ডা আছে তবে কুয়াশার নেই তাই স্কুলে আসতে সমস্যা হয়নি।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ঠান্ডা আছে তবে কমেছে কুয়াশা। বিদ্যালয় খোলার নির্দেশনা পেয়ে সন্তানদের তারা নিয়ে এসেছেন বিদ্যালয়ে। সরকারি নির্দেশনা মানতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
এর আগে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা বিরাজমান থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮ জানুয়ারি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসা উল্লেখ করে চিঠি দিয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু তাপমাত্রা এখনো ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার পরও তিনি রোবাবার ক্লাস শুরুর সময় পিছিয়ে দিয়ে চিঠির মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দেন।
কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশীদ জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে।