চাল বেচাকেনার পাকা রসিদ রাখার নির্দেশ ভোক্তা অধিকারের ডিজির
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৪ পিএম
বরগুনায় রোববার সকালে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানকালে চাল বেচাকেনার পাকা রসিদ রাখার নির্দেশ দেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মহাপরিচালক বলেন, চালের পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও গত ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি জানুয়ারি মাসে সব চাল অযৌক্তিকভাবে কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে ব্যবসায়ীদের অবশ্যই চাল ক্রয়ের পাকা রশিদ সংরক্ষণ ও বিক্রির পাকা রশিদ ক্রেতাকে দিতে হবে। পাশাপাশি দোকানের দৃশ্যমান স্থানে হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে।
ভোজ্যতেলের আড়ত পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক তেল ব্যবসায়ীদের খোলার পরিবর্তে বোতলজাত তেল বিক্রির আহ্বান জানিয়ে বলেন, ড্রামে করে আসা তেল কোন রিফাইনারি থেকে এসেছে তা নির্ণয় করা যায় না। তাছাড়া ভোজ্যতেল ভিটামিন ‘এ’ ফডিফায়েড করার যে নির্দেশনা রয়েছে তা খোলা তেলে নিশ্চিত করা যায় না। পাশাপাশি পাম, সুপারপাম ও সয়াবিন তেলের পরস্পর মিশ্রণ করে ভোক্তা সাধারণকে প্রতারিত করার ঝুঁকি থাকে।
অভিযান শেষে জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাকক্ষে অধিদপ্তরের চেম্বারের সভপতি মো. জাহাঙ্গীর কবীরের সভাপতিত্বে চাল, ভোজ্যতেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি।