পাবনায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, দুপুরে বন্ধ প্রাথমিকের ক্লাস
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
ফাইল ছবি
পাবনায় তাপমাত্রা অব্যাহতভাবে কমছে। রোববার মৌসুমের সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রোববার সারা দিন আকাশ পরিষ্কার থাকলেও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এদিকে অধিদপ্তরের স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় প্রচণ্ড শীতে জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রচণ্ড শীতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হয় এবং অবশেষে দুপুর ১টায় জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যথারীতি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে হয়েছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে পাবনা জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব হাসপাতালে ২ শতাধিক রোগী ভর্তি হন এবং এখনো ৫ শতাধিক শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শীতে পদ্মা-যমুনা বেষ্টিত চরাঞ্চলের মানুষের এবং নিম্নবিত্ত ও দিনমজুরদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সূত্রমতে, নতুন বছরের শুরু থেকেই পাবনা অঞ্চলে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৯ থেকে ৮ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছিল কিন্তু রোববার তাপমাত্রা নেমে দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে।
পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হোসেন জানান, রোববার এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২২ জানুয়ারি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২১ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ২৩ জানুয়ারি ৮ ডিগ্রি, ২৪ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ২৬ জানুয়ারি ৯ ডিগ্রি, ২৭ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং রোববার তাপমাত্রার পারদ নেমে আসে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক বলেন, দুপুর ১টায় শিক্ষকরা অভিভাবকদের ফোন করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মো. ইউসুফ রেজা জানান, আমরা নির্দেশনা পাওয়ার পর দুপুরে বাচ্চাদের ছুটি দিয়েছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী বলেন, আমরা ঈশ্বরদীর সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করেছি।