‘আমার কাছে সবচেয়ে পবিত্র-দামি ভোটার নব্বই বছরের কামবালা’
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার কাছে সবচেয়ে পবিত্র এবং দামি ভোটার শ্রীমতি কামবালা। কারণ নব্বই বছর বয়সেও তিনি নৌকা মার্কার নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়েছেন এবং আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। এরকম একজন মানুষ যখন কাউকে আশীর্বাদ দেন, তখন সৃষ্টিকর্তা তার দিতে চোখ তুলে তাকান এবং তাকিয়েছেন। এরকম একজন পবিত্র ভোটারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই আমি এখানে এসেছি।
রোববার দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার গোদাবাড়ী গ্রামে ৯০ বছর বয়সের বৃদ্ধা কামবালার বাড়িতে গিয়ে এসব কথা বলেন দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের জন্য যে কাজ করছেন, এটা প্রতিফলিত হয়েছে এই বৃদ্ধার মধ্যে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসা এবং নৌকার প্রতি ভালোবাসা, তার বার্ধক্যকেও হার মানাতে পারেনি। এ বয়সেও তিনি নৌকা মার্কার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এটা আমাদের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয়। সত্য এবং সুন্দরের জন্য কোনো কিছু যে আটকায় না, কামবালা সেটা প্রমাণ করেছেন।
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রোববার দুপুরে ওই বৃদ্ধার বাসায় গেলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ৯০ বছরের বৃদ্ধা কামবালাকে মা হিসেবে আখ্যায়িত করে শ্রদ্ধাস্বরূপ ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এ সময় কামবালাও প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা স্বরূপ পরিয়ে দেন ফুলের মালা। প্রতিমন্ত্রী আসার খবরে কামবালা বাসায় শীতের পিঠা-পুলির আয়োজন করেন। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাতে অংশ নেন। সব মিলিয়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করে বিরল উপজেলার গোদাবাড়ী গ্রামে বৃদ্ধা কামবালার বাড়িতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার সময় ৯০ বছর বয়সের বৃদ্ধা কামবালা নৌকা মার্কার নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেন। তিনি উল্টো ওই আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছেই নৌকা মার্কার ভোট প্রার্থনা করেন।
গোদাবাড়ী গ্রামের বৃদ্ধা কামবালার ৪ ছেলের মধ্যে এক ছেলে মারা গেছেন। বর্তমানে আছেন ৩ ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনি। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগেই।