এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে দেশি আলু ও পেঁয়াজের দাম। দেশি আলু প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩২ থেকে ৩৭ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। এছাড়া বেড়েছে ডিম ও বেগুনের দাম। ডিম খাচিপ্রতি ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং বেগুন কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। পাইকারি মোকামে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলো।
হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা রিকশাচালক আতাউর রহমান বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে কাজ তেমন হচ্ছে না। কারণ অতিরিক্ত শীতের কারণে রিকশাতে যাত্রী কম উঠছেন। যার ফলে ইনকাম অনেকটাই কমে গেছে। এরই মধ্যে আবার বাজারে সব নিত্যপণ্যের দামই প্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষদের সংসার পরিচালনা করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ ও আলু ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, অতিরিক্ত শীতের কারণে মোকামগুলোতে চাহিদার তুলনায় কম আলু ও পেঁয়াজ উঠছে; যার ফলে মোকামেই দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। তবে আগের থেকে ক্রেতা সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।
হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা মাহমুদ আলী বলেন, শীতে ডিমের চাহিদা বেশি থাকে। যার ফলে খামারিরা ডিমের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। সেই জন্য খুচরা বাজারেও ডিমের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি হালি বয়লার মুরগির ডিম ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, হঠাৎ করে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে বেগুন, ফুলকপি, শসা এবং করলার দাম। বেগুন কেজিপ্রতি ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ টাকা কেজি, ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচের দাম গত এক মাস ধরে ৫০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে।