যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর সেই দুর্নীতিবাজ দুই কাস্টমস কর্মকর্তা ক্লোজড
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৪ পিএম
আখাউড়া কাস্টমস কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রচারের পর সেই কাস্টমস ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালকে ক্লোজ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে এক আদেশের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান ফারুককে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সদর দপ্তর কুমিল্লা জনপ্রশাসন শাখায় সংযুক্ত করা হয়। অপরদিকে শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পালকে ঢাকায় তার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দপ্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান সরদারের স্বাক্ষরিত এক দপ্তরাদেশে তার সংযুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়াও আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা কাইয়ুম তালুকদার এবং কাস্টমস রাজস্ব শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন চৌধুরী ওই দুই কর্তকর্তা ক্লোজের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এ পথে যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে নানা উপায়ে টাকা আদায় করা হয়। টাকা না দিলে করা হয় হয়রানি।
কাস্টমস ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান ফারুক ও শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর সজিব পাল এ দুই কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক পাসপোর্টধারী যাত্রীকে মাদক চোরাচালানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও আসে যুগান্তরের হাতে।
পরে ওই দুই কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরের শেষ পৃষ্ঠায় "কাস্টমস কর্মকর্তার প্রস্তাব: তুই মদ আনবি আমি ব্যবসা শিখায়ে দিমু' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।
সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে নড়েচড়ে বসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অবশেষে মঙ্গলবার বিকালে এক আদেশের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সংযুক্ত (ক্লোজ) করা হয়েছে।
আখাউড়া কাস্টমস হাউজের দুর্নীতিবাজ দুই কর্মকর্তার ক্লোজের খবরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এ পথে যাতায়াতকারী সাধারণ পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।