সাত বছরে বন্ধ ৭০৮টি খামার, চাঁদপুরে বেকার দুই সহস্রাধিক শ্রমিক
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
চাঁদপুর জেলায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৯ হাজার ৫১৫টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে গত ৭ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে ৭০৮টি খামার। ৫ হাজার ৮শ ৮৪ গরুর খামারের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৩শ ২৬টি। ২ হাজার ১২২টি পোলট্রি খামারের মধ্যে বন্ধ হয়েছে ২শ ২২টি। এর ফলে কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন এসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২ সহস্রাধিক শ্রমিক।
শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের খলিশাডুলীতে মুরগির খামার দিয়ে বিপাকে পড়েছেন গনি মিয়া। তিনি জানান, অস্থিতিশীল বাজারব্যবস্থা, খাদ্য ও ওষুধের দাম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় খামার ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে তার। প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে তাকে। অনবরত পুঁজি হারাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
পুরানবাজারে গরুর খামারি হাসিবুল হাসান মুন্না বলেন, দুধ কিংবা গরু বিক্রি করে যে টাকা পাওয়া যায়, তাতে খরচ বাদ দিয়ে লাভ খুব একটা থাকে না। এমন চিত্র জেলার শত শত পোলট্রি ও দুগ্ধ খামারির। উন্নতমানের মুরগির বাচ্চা সরবরাহ না করা এবং পোলট্রি ও গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ অনুকূল পরিবেশ না থাকায় প্রতি মাসে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আরও জানা যায়, চাঁদপুর জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুধের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ দশমিক ১ লাখ মেট্রিক টন। মাংসের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ দশমিক ১২ মেট্রিক টন এবং ডিমের চাহিদা রয়েছে ৩১ দশমিক ১০ কোটি পিস। তবে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, বৈদেশিক মন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশে পোলট্রি ও গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। এতে করে বেশ কিছু পোলট্রি ও গরুর খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা নিবন্ধনের মাধ্যমে ব্যাংকে আবেদন করলে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পেতে পারেন।