সোনাতলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেয়রের মামলা
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর নামে কুৎসা রটনা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য নান্নু বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার (লিটন) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা (নং-১২সি/২৪, সোনা) মামলা করেছেন। বিচারক জিনিয়া জাহান রোববার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ ও এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোনাতলা পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নান্নু এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি সোনাতলা কেন্দ্রীয় বণিক সমিতির সভাপতি, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি, সোনাতলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীর আলম গুড মর্নিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, দাতা ও সদস্য হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সোনাতলা রেলগেট চত্বরে আওয়ামী লীগের কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান উপস্থিত ছিলেন। সভায় এমপির ছোট ভাই সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লিটন বক্তব্য রাখেন।
তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচনে কে কে সহযোগিতা করেননি তা নিয়ে কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম নান্নু ও পলাশ নামে একজনের বিরুদ্ধে সুদের কারবারের অভিযোগ তোলেন।
লিটন দাবি করেন, নান্নু ও পলাশকে গ্রেফতার করলে তাদের কাছে অন্তত এক হাজার স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প এবং চেক পাওয়া যাবে। এ বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। মেয়র নান্নু ফেসবুকে এ ভিডিও দেখে মর্মাহত হন। এতে তার মানহানি হয়েছে। এছাড়া লিটন বিভিন্ন সময় তাকে (নান্নু) হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন বলে দাবি করেন। আসামি এমন কাজ করে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০৬(২) ধারায় অপরাধ করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতার করে জেলে পাঠাতে আদালতের কাছে অনুরোধ করা হয়।
বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত সূত্র জানায়, রোববার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।