Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাইকেল চালিয়ে হজে যাওয়া গাইবান্ধার আইয়ুব আলী এখন ভারতে

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম

সাইকেল চালিয়ে হজে যাওয়া গাইবান্ধার আইয়ুব আলী এখন ভারতে

টাকা-পয়সা সবই আছে, পাঁচ ছেলেমেয়ে নিয়ে ভরপুর সংসার। খাবার অভাব নেই সচ্ছল সংসারে। তাই নিজের ত্যাগ প্রমাণ করতে সাইকেল চালিয়ে হজ করতে রওনা হয়েছেন গাইবান্ধার আইয়ুব আলী (৬৫)। বুধবার তিনি সাইকেল চালিয়ে নিজ গ্রাম ছেড়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি বর্ডার পার হয়ে ভারতে পৌঁছেছেন।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোদ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের ফারাজিপাড়া থেকে পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।

খোদ্দ কোমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম জানান, আইয়ুব আলী ফারাজিপাড়া গ্রামের মৃত কাদের আকন্দের ছেলে। পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও চার ছেলে আমান, বেলাল, জেলাল, মোহন ও এক মেয়ে রয়েছে তার। ছেলেমেয়েরা সবাই স্বাবলম্বী। হজে যাওয়ার জন্য তারা তার বাবাকে টাকাও দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি নেননি। হজে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

তিনি বলেন, আইয়ুব আলী স্বাধীনচেতা মানুষ। সংসারে কোনো অভাব নেই। ইচ্ছা করলে উড়োজাহাজেও যেতে পারতেন হজে। এরকম আর্থিক সঙ্গতি তার আছে; কিন্তু একদিকে ভ্রমণ, অন্যদিকে পবিত্র হজ পালন তাকে আকৃষ্ট করে।

আইয়ুব আলীর ছেলে মোহন মিয়া বলেন, হজ পালনে যাওয়ার মতো আর্থিক সঙ্গতি আমাদের আছে, কিন্তু বাবার ইচ্ছা সাইকেল চালিয়ে দেশ-বিদেশ ঘুরে হজে যাবেন। এটা তার অনেক দিনের আশা। গত ছয় মাস ধরে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রংপুর ঘুরে সাইকেলে হজে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন।

তিনি বলেন, সব কাগজপত্র সংগ্রহের পরে বাড়িতে থাকা সাইকেল মেরামত করে বুধবার মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এতক্ষণে হিলি পোর্ট দিয়ে ভারতে পৌঁছেছেন বলে জানা গেছে। ভারত সীমান্ত হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান পৌঁছবেন। এরপর ইরান হয়ে মক্কায় পৌঁছবেন।

আসাদুল বলেন, এতে সময় লাগবে প্রায় ছয় মাস। প্রতিদিন অন্তত ৭০-৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালাতে হবে। পথে রাত হলে নিকটবর্তী মসজিদে রাতযাপন করবেন। সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মমেদুল ইসলাম বলেন, তার এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। মক্কায় পৌঁছতে তাকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সবার দোয়া তার সঙ্গে আছে।

খোদ্দ কোমলপুর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম জানান, আমি আগে জানলে তাকে যেতে দিতাম না। সে কারণে আমাকে না জানিয়েই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বর্ডার পার হয়েছেন। ভারতের বর্ডার পার হওয়ার আগে তিনি টেলিফোনে এ কথা জানান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম