নেত্রকোনায় ১০ লাখ টাকার জন্য দাদিকে খুন
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০০ পিএম
নেত্রকোনায় তালাবদ্ধ ঘরে হাত-পা ও মুখ বাঁধা জোছনা বেগমের (৭০) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার নাতিসহ আটক তিন কিশোরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গ্রেফতারের পর তিন বন্ধু জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে খুনের ঘটনা জানিয়েছে। ঘরের আলমারিতে রাখা ১০ লাখ টাকা নিতেই এ খুন করে নাতিসহ তিন কিশোর। কিশোরদের আটকের পর আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
লাশ উদ্ধারের পর মঙ্গলবার ভোরে তাদের আটক করা হয়। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লুৎফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার রাত সোয়া ১১টা শহরের নিউটাউন বিলপাড় এলাকার নিজ ঘর থেকে জোছনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জোছনা বেগমের ছোট ছেলে নাজমুল হাসান রুজেন বাদী হয়ে সোমবার রাতেই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আটক কিশোররা হলো সাম্মাম হোসেন (১৫), তার বন্ধু শহরের পূর্ব চকপাড়া এলাকার আবুল হকের ছেলে সাব্বির হোসেন চয়ন ও জেলা সদরের বিলপাড় এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে রিয়াদ হোসেন অনিক।
আটক তিনজনের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান জানান, সম্প্রতি মিল্টনের এক ভাই একটি গাড়ি বিক্রি করে। ওই গাড়ি বিক্রির ১০ লাখ টাকা ঘরের আলমারিতে রাখা ছিল। বিষয়টি ওই কিশোর জানত। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে ওই টাকা চুরির পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় এক হাসপাতাল থেকে চেতনানাশক ইঞ্জেকশন সংগ্রহ করে ৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ওই বাসায় যায়। পরে তিন বন্ধু মিলে জোছনা বেগমের হাত, পা ও মুখ বেঁধে শরীরে ইঞ্জেকশন পুশ করে অচেতন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে।
এরপর তারা আলমারি খুলে দেখে যে ড্রয়ারে ১০ লাখ টাকা, তা লক করা। তা খুলতে ব্যর্থ হয়ে সামনে থাকা দুই হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় গিয়ে ইঞ্জেকশন, সুচ ও হাতের গ্লাভস একটি পুকুরে ফেলে দেয়।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে ওই কিশোর আটপাড়া থেকে তার মা ও বোনের সঙ্গে শহরের বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিস্তারিত জানালে অপর দুই বন্ধুকে তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।