গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র সাব্বির (১১) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। আপন চাচা কর্তৃক বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

পুলিশ অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দকে (৩০) মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করেছে। সে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। 

অভিযুক্ত ইমরান সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ গটুর ছেলে। আর হত্যাকাণ্ডের শিকার সাব্বির (১১) একই গ্রামের আনিছুর রহমান খুরুর ছেলে ও রাঘবপুর এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। ইমরান আকন্দ সাব্বিরের আপন ছোট চাচা।

জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানান, সাব্বিরকে সে ৩ বৎসর ধরে শারীরিকভাবে নির্যাতন (বলাৎকার) করে আসছিল। এ ঘটনা অন্যদের বলে দেওয়ায় ভয়ভীতি দেখালে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে কৌশলে সাব্বিরকে ডেকে নিয়ে বসতবাড়ির পশ্চিম পাশে কলাখেতে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

পরদিন ১৮ ডিসেম্বর হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর আলাই নদীর পাড়ে গলায় গেঞ্জি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মামলা হলে তদন্ত শেষে পুলিশ ইমরানকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।