Logo
Logo
×

সারাদেশ

কক্সবাজারে জামানত হারালেন ১৯ প্রার্থী

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১১ পিএম

কক্সবাজারে জামানত হারালেন ১৯ প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনে এবার মাঠে ছিলেন ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৯ জনই জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানোদের মধ্যে তিনজন জাতীয় পার্টির, তৃণমূল বিএনপির একজন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। বাকিরা অন্যান্য পার্টির। জামানত হারানোদের অনেকে হাজারের ঘর পূরণেও ব্যর্থ হন। জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘোষিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণে এ তথ্য মিলেছে। 

নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের একভাগ ভোট না পাওয়া প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন, এদের মধ্যে পাঁচজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২।  ১৫৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১৩টি। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ১৭ হাজার ৫৭৬টি। এত ভোট পাননি পাঁচ প্রার্থী।

এ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট। এ আসনে জামানত হারিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল (প্রাপ্ত ভোট ৫৩৭), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (প্রাপ্ত ভোট ৭৭৩), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৬৯১), স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন (প্রাপ্ত ভোট ২৪৪) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কমর উদ্দীন আরমান (প্রাপ্ত ভোট ১৮০)। 

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে ছয় প্রার্থীর চারজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৭ ভোটের বিপরীতে ১১৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৮টি। এর আট ভাগের একভাগ হলে ১৬ হাজার ৯৪৬ পাওয়া দরকার ছিল চার প্রার্থীর। এরা এর ধারে কাছেও যেতে পারেননি। এ আসনে আওয়ামী লীগের আশেক উল্লাহ রফিক ৯৭ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ বাদশা পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬১৩ ভোট। ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস পেয়েছেন ২৭৬ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান পেয়েছেন ২২৪, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মোহাম্মদ খায়রুল আমিন পেয়েছেন ১৬০, বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট পার্টির (এনপিপি) মাহবুবুল আলম ১৪৮ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। 

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনেও ছয় প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ ভোটারের জন্য বসানো ১৭৬ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৭টি। এর ৮ ভাগের একভাগ ২৪ হাজার ৪৩৮। এমপি হওয়া কমল ছাড়া অপর পাঁচ প্রার্থীর কেউ এ অংক পার করতে পারেননি।

এ আসনে আওয়ামী লীগের সাইমুম সরওয়ার কমল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৪৬ ভোট। এ আসনে জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭১ ভোট, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন পেয়েছেন ৯৮৮, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) শামীম আহসান ভুলু পেয়েছেন ৫০৫, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম পেয়েছেন ২৬৮। 

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে সাত প্রার্থীর পাঁচজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬১০ ভোটে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৭ ভোটে পড়েছে। এর ৮ ভাগের একভাগ ২৪ হাজার ৯৭১। যারা জামানত হারিয়েছের তাদের কেউ এ সংখ্যার কাছাকাছিও যেতে পারেননি। 

এ আসনে আওয়ামী লীগের শাহিন আকতার ১ লাখ ২২ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল বশর পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭০৭ ভোট। এ আসনে জামানত হারানোর তালিকায় রয়েছেন- জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো (তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৮ ভোট), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদ আলম (প্রাপ্ত ভোট ৩২৭), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (প্রাপ্ত ভোট ২৪৬), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৮২৫) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (প্রাপ্ত ভোট ২৪৭)।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম