বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা, আরও বাড়তে পারে শীত
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
পৌষের শেষে এসে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, সেইসঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
রাতে বৃষ্টির ফোঁটার মত পড়ছে কুয়াশা। আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। প্রকৃতি ঘন কুয়াশায় ঢাকা। ফলে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। ঠাণ্ডায় কাজে যেতে পারেনি বয়স্ক শ্রমজীবী মানুষেরা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময় মতো কাজে বের হতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়া পাড়া এলাকার হাফিজুদ্দি বলেন, ঠাণ্ডায় আমার অবস্থা শেষ। হাতে টাকা-পয়সা নাই, শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই।
মানুষ একটা জ্যাকেট দিছে সেটা দিয়ে একটু ঠাণ্ডা কমছে।
একই এলাকার মান্নান মিয়া বলেন, আজ কুয়াশা কম কিন্তু সেই ঠাণ্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। বাতাসে কাবু করে ফেলছে।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন সরকার বলেন, কিছুদিন আগে মাদ্রাসার ছাত্রদের জন্য ২০০ কম্বল পেয়েছি তা বিতরণ করা হয়েছে। আর কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। তবে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এইরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকবে। তবে এ মাসের মধ্যে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।