Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে লতিফ সিদ্দিকীর ভোটের পার্থক্য কত?

Icon

জাফর আহমেদ, টাঙ্গাইল

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে লতিফ সিদ্দিকীর ভোটের পার্থক্য কত?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আলোচিত সিদ্দিকী পরিবারের আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জিতলেও হেরেছে তার ছোট দুই ভাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও মুরাদ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রবীণ রাজনীতিক আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তবে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম ও মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে পরাজিত হয়েছেন।

আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট। এ আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহান সিরাজের মেয়ে সারওয়াত সিরাজ ওরফে শুক্লা পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৭ ভোট। এ আসনে ভোট পড়েছে ৩৯ শতাংশ।

লতিফ সিদ্দিকী এ আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে লতিফ সিদ্দিকীর ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মামুন-অর-রশিদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনসহ আট প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছে। ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। আওয়ামী লীগের মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট ও মুরাদ্দ সিদ্দিকী পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৯০ ভোট। মুরাদ সিদ্দিকী এ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েও বিজয়ী হতে পারেননি।

টাঙ্গাইল-৮ আসনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে। অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে ভোট পড়েছে ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।  বিজয়ী অনুপম শাহজাহান জয় এ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। ২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর অনুপম উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হন। কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম