যে কারণে হারলেন তৃণমূল বিএনপির শমসের মুবিন
গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৯ এএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে হারলেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক কূটনৈতিক শমসের মুবিন চৌধুরী। তার দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রোববার দিনভর ভোটের পর বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি তৃতীয় স্থানে ছিলেন। এ আসনে জয়লাভ করেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঈগল প্রতীকের সরওয়ার হোসেন। শমসের মুবিন চৌধুরী পরাজয়ের পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন সচেতন মহল। তার দল তৃণমূল বিএনপির নির্বাচনি আসন গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় কোনো কমিটি না থাকা, এলাকার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা এবং নির্বাচনে পূর্ব পরিকল্পনা না থাকায় তার পরাজয়ের কারণ।
জানা যায়, শমসের মুবিন চৌধুরী ২০১৮ সালে কুলা প্রতীক নিয়ে এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর তিনি ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর তার নিজ এলাকায় তেমন যোগাযোগ রাখেননি তিনি। এরপর তিনি যোগ দেন তৃণমূল বিএনপিতে। দলে যোগদানের পর কাউন্সিলে তিনি চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। দলীয় প্রতীক সোনালী আঁশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তার নির্বাচন করা নিয়ে এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। অনেকের ধারণা ছিল হেভিওয়েট এ প্রার্থী থাকায় এ আসনে হয়ত পরিবর্তন হতে পারে। এমন জল্পনা-কল্পনার ডালপালা মেলতে থাকে চারিদিকে। শেষ সময়ে তার প্রচারণায় শামিল হন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ প্রকাশ্যে শমসের মুবিনের পক্ষে প্রচারণায় নামে। রোববার নির্বাচনের পর ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
এ আসনে ৫০ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন (ঈগল) পান ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী (সোনালী আঁশ) পান ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল) পান ৫ হাজার ৫৭৯ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আতাউর রহমান (ছড়ি) পান ১৬৯ ভোট ও ইসলামী ঐক্যজোটের সাদিকুর রহমান (মিনার) পান ৬২২ ভোট।