শরীয়তপুর-২
জাল ভোটের অনন্য নজির, অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
অধিকাংশ কেন্দ্রে জাল ভোটের অনন্য নজির স্থাপন করা হয়েছে শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনে। রোববার বিকাল সাড়ে ৩টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন কথা জানিয়েছেন আসনটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে তিনি তার ফেসবুকে একটি ভিডিও লাইভেও জাল ভোটের অভিযোগ করেন।
আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও শরীয়তপুর-২ আসনের (ঈগল) প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলীর স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। ভোটারদের ওপেন ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। জাল ভোটের এক অনন্য নজির স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়গুলো জানানোর পরও ঘটনাগুলো অব্যাহত থাকছে।
ফেসবুক লাইভে ডা. খালেদ শওকত আলী বলেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোরের আশায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই আশা আস্তে আস্তে অন্ধকারে হারিয়ে যেতে থাকে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে কিছু ব্যক্তিদের বারবার ঢুকতে দেখেছি, প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। টেবিলে ওপেন ভোট নেওয়া হয়েছে-আমরা এই বিষয়টিও জানিয়েছি। তাদের (নৌকা প্রতীকের) পরাজয় নিশ্চিত জেনে দুপুর ২টার পর থেকে মোক্তারের চরের গফুর ব্যাপারীকান্দি কেন্দ্র, রাজনগরের ঠাকুরকান্দি কেন্দ্র, পৌরসভার (নড়িয়া) ঢাকেরবাড়ি কেন্দ্র, কেদারপুর স্কুল কেন্দ্র, ডিঙ্গামানিক কেন্দ্রে এই মুহূর্তে (লাইভের সময়) জাল ভোট চলছে।
তারা জেনে গিয়েছিল যে তাদের পরাজয় ঠেকানো যাচ্ছে না তাই তারা আরশিনগরসহ একাধিক কেন্দ্রে একই ব্যক্তি একাধিকবার ভোট দিচ্ছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করছি আপনারা এই অনিয়ম বন্ধ করুন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রুখতে শেখ হাসিনাকে এসব ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু যা ঘটছে তা ন্যক্কারজনক, দুঃখজনক।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ শওকত আলী বলেন, আমার এই আসনটিতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। ভোট বর্জন করলেই কি আর না করলেই কি।
শরীয়তপুর-২ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৬ জন। আসনটিতে ১০ জন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম এনামুল হক শামীম ও আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. খালেদ শওকত আলী।