ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে কাঁদলেন ডলি সায়ন্তনী
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
পাবনায় নির্বাচনে নানা অনিয়ম, কারচুপি এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগে পাবনা-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী (নোঙ্গর) কণ্ঠশিল্পী ডলি সায়ন্তনীসহ জেলার ৪ প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। এ সময় তিনি কেঁদে ফেলেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে ডলি প্রথমে সুজানগরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভোট বর্জনের সময় কয়েকটি ফোন পেয়ে চলে যান। পরে বিকাল ৪টার দিকে ডলি সায়ন্তনী একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসকের (রিটার্নিং অফিসার) অফিসে জমা দেন। এতে তিনি ভোটে চুরি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ তোলেন। পরে ডলি পাবনায় সাংবাদিকদের কাছে তার অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এক পর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তা দেখে নৌকার লোকজন দিশেহারা হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য নৌকার পোলিং এজেন্ট এবং বাইরের সমর্থকরা ব্যালট পেপার নিয়ে জোর করে নৌকায় সিল মারতে থাকে।
তিনি বলেন, গোপালপুর স্কুল, ভবানীপুর স্কুল, জাহানারা কাঞ্চণ উচ্চ বিদ্যালয়,শান্তিপুর স্কুল, চিনাখড়া হাইস্কুল কেন্দ্রে ৬০-৭০ শতাংশ ভোট কেটে নেওয়া হয়। তিনি অনেক ফুটেজ মোবাইলে ধারণ করেছেন বলেও জানান। এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ডলি সায়ন্তনী কেঁদে ফেলেন।
এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুকুমার সরকার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
এদিকে পাবনা কারচুপির অভিযোগে বিকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন পাবনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস। এছাড়া পাবনা-৫ (সদর) আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী কমরেড জাকির হোসেন বিকাল ৩টার দিকে ভোট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। এছাড়া কারচুপির অভিযোগে পাবনা-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী (সোনালী আঁশ) আবুল কালাম আজাদ ভোট বর্জন করেন।
পাবনা জেলার সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, এসব বিষয়ে এখনও তিনি অবহিত নন।