চৌদ্দগ্রামে নির্বাচন বর্জন, আ.লীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
চৌদ্দগ্রাম দ. (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
চৌদ্দগ্রামে নির্বাচন বর্জন, আ.লীগের দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে নৌকা প্রতীকে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কর্মীরা কেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আ.লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান। সেই সঙ্গে ভোট বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি এ ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে আমার ফুলকপি প্রতীকের এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকাতে সিল মারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। প্রশাসন নৌকার পক্ষপাতিত্ব আচরণ করছে। আমি এ নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করলাম। পাশাপাশি এ আসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফশিলের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফুলকপি প্রতীকের প্রধান সমন্বয়কারী ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল, আলকরা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াদ হোসেন জাবেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে জোর পূর্বক নৌকায় ভোট দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান যুগান্তরকে বলেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের নির্বাচন বর্জনের একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এ অভিযোগ নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো হবে, পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।