‘ফরিদপুর আ. লীগের সভাপতি-সম্পাদক বিএনপির পক্ষে মাঠে’
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫১ পিএম
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের আব্দুল কাদেরের (একে আজাদ) শহরের ঝিলটুলীর বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় দশ নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ। এ সময় তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনÑআওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের (একে আজাদ), ফারুক হোসেন, খলিফা কামালউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম নিরু, শওকত আলী জাহিদ, যশোদা জীবন দেবনাথ প্রমুখ।
শওকত আলী জাহিদ বলেন, ফরিদপুর সদর আসনের ঈগল প্রতীকের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা নস্যাৎ করতে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপির এজেন্ডা বস্তবায়নে ফরিদপুরজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি ভাইরাল করার চেষ্টা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী ১০ নেতাকে বহিষ্কারের অপচেষ্টা চালানা হচ্ছে। যা আওয়ামী লীগের গঠণতন্ত্রের সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না। নেতা তো দূরের কথা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একজন কর্মীকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা জেলা পর্যায়ের নেই।
কাউকে বহিষ্কার করতে হলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সই করে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তার কিছুই এখানে নেই। তার মানে ফরিদপুর ৩ আসনের নৌকা প্রার্থীর পরাজয় নিশ্চিত জেনে সাধারণ মানুষের মাঝে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে ফরিদপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। শামীম হক তার গুন্ডা বাহিনীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। আসলে তারা স্পষ্টই বিএনপির ভোট বর্জন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।