দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের জয়জয়কার চলছে। চকরিয়া-পেকুয়ার একটি পৌরসভা ও ২৫টি ইউনিয়নের অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী তার জয়ে কাজ করছেন। হাতঘড়ি মার্কার প্রচার চালানো হয়েছে জোরেশোরে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় জেনারেল ইবরাহিম এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন। তাকে সমর্থন দিয়েছেন নৌকার প্রার্থীও। এ অবস্থায় অনেকটা সহজ জয়ের পথে রয়েছেন তিনি।

জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চকরিয়ায় পদার্পণ হয় মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিকের। এরপর থেকে চকরিয়া-পেকুয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি হাতঘড়ির মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। এতে সার্বক্ষণিক সহায়তা করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জেনারেল ইবরাহিম জানান, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ফাঁশিয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, সুরাজপুর-মনিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক, কাকারা ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহাবউদ্দিন, বদরখালীর চেয়ারম্যান নূরে হোছাইন আরিফ, বিএমচরের চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর আলম, লক্ষারচরের চেয়ারম্যান আওরাঙ্গজেব বুলেট, পেকুয়ার রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরীসহ দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক তাকে সহায়তা করেছেন। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ মামলা জটিলতায় নির্বাচন করতে না পেরে হাতঘড়িকে সমর্থন দিয়ে প্রচারে অংশ না নিলে এত অল্প সময়ে এতদূর এগোনো সম্ভব হতো না।