Logo
Logo
×

সারাদেশ

মহম্মদপুরে ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, থানায় মামলা

Icon

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

মহম্মদপুরে ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, থানায় মামলা

প্রতীকী ছবি

মাগুরার মহম্মদপুরের পানিঘাটা গ্রামে সবুজ মোল্যা (৩০) ও তার ভাই হৃদয় মোল্যাকে (১৭) মার্ডার করা হয়। তারা সম্পর্কে আপন দুই ভাই। ডাব খাওয়ার কথা বলে তাদেরকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় প্রধান আসামি আশিকুর রহমানকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

শনিবার রাতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। সবুজ ও হৃদয় পানিঘাটা গ্রামের মনজুর মোল্যার ছেলে। 

পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে সবুজ ও হৃদয়কে ডাব খাওয়ার কথা বলে বাড়ির থেকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশি ফারুক শিকদারের ছেলে আশিকুর রহমান। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদেরকে বাড়ির থেকে একটু দুরে ইছেমতি বিলের ঢোকচান্দের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে আশিকের আরও সহযোগী লুকিয়ে ছিল। আশিক ওদেরকে নিয়ে জায়গা মত উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুবজ ও হৃদয়ের ওপর আশিকের সহযোগীরা অর্তকিত হামলা চালায়। একপর্যাযে সবুজ ও হৃদয়কে জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে দেয়। এর পর প্রথমে হৃদয়কে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। বিষয়টি দেখে আরেক ভাই সবুজ চিৎকার করতে থাকে। পরে তারা সবুজকেও গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় আশিককে সোমবার আটক করে পুলিশ। আটক করার পর আশিক ঘটনাটি প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত  বিস্তারিত জানান। 

নিহতদের ভাই মো. আবদুল্লাহ বলেন, সবুজ কৃষি কাজ করতেন এবং হৃদয় দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতেন। আমার জানা মতে আশিকদের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা ছিল না। গ্রাম্য কোনো দলাদলির সঙ্গেও আমরা নেই। পরিশ্রম করে খাই। আমার দুই ভাইকে এভাবে ওরা মেরে ফেলবে, এটা কখনও ধারণা করতে পারি নাই।

মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উন ইসলাম বলেন, মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নের পানিঘাটা গ্রামের আপন দুই ভাই হত্যার প্রধান আসামি আশিকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সবুজ ও হৃদয়ের বড় ভাই কালাম মোল্যা বাদি হয়ে আশিকুর রহমানকে প্রধান আসামি ও আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম