থানায় জিডি
গোদাগাড়ীতে মাহির প্রচারে বাধা
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪০ পিএম
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে গোদাগাড়ী থানায় জিডিটি করা হয়। এর আগে রাত ৯টার দিকে গোদাগাড়ীর পালপুরে প্রচারে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন মাহি। এর দুদিন আগে আরেক স্থানে যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। এসব কারণে এখন নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ে থাকার কথা জানিয়েছেন এ প্রার্থী।
মাহির অভিযোগ, ভোটের মাঠে তাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন নৌকার সমর্থকরা। দুদিন আগে এক হাটে আমি গণসংযোগে যাই। অটোরিকশায় বসে থাকা যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী আমাকে ডাকেন। বারবার জিজ্ঞেস করছিলেন, আমি এলাকার জন্য কী করেছি। করোনার সময় কী করেছি। সেটা ভিডিও করে আবার ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ (শুক্রবার রাতে) আবার পালপুরে আমার বক্তব্যের মাঝখানে একজন এসে আবার একই কথা বলেন। আমি বুঝতে পেরেছি, এটা বলার নির্দেশনা আছে। এ কথা বলাতে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি বলেন, এটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস। এ রাস্তায় গণসংযোগ করতে পারবেন না। আমি বলেছি, এটা সরকারি রাস্তা। কেন প্রচার করতে পারব না? আপনি আমাকে বাধা দিচ্ছেন।
মাহি বলেন, আমি প্রশাসনকে জানানোর কথা বলি। তখন তিনি সরি বলেছেন। কিন্তু সবাই মিলে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। ফোন দিয়ে লোকজন জড়ো করেন। কাকে যেন ফোনে বলছিলেন, হুকুম দেন খালি। আমি ইউএনও এবং ওসিকে ফোন করে জানাই। পরে তারা আসেন।
মাহি বলেন, আমার কাছে তথ্য আছে-আমি যেখানে যাব সেখানে সাধারণ জনগণ সেজেই তারা একটা বিশৃঙ্খলা করবেন। আমি ভীতসন্ত্রস্ত। কারণ আর মাত্র কয়টা দিন আছে। এরমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে কে কখন ঢুকে যাবে এবং বিশৃঙ্খলা করবে। তাই আমি প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, তারা যেন এদিকে খেয়াল রাখেন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, রাত ৯টার দিকে মাহিয়া মাহির ফোন পেয়ে আমি ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখানে যাই। এরপর পরিস্থিতি শান্ত করে আসি। এ ঘটনায় রাতেই প্রার্থীর লোকজন মামলা করতে আসেন। তবে যে অভিযোগ সেটা সরাসরি মামলা হয় না। এজন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।