সুপার এডিট করে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, হাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল!
যুগান্তর প্রতিবেদন, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৩ পিএম
পটুয়াখালী-৪ নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমানের ফেসবুক আইডির একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি এডিট করে তার হাতে ঈগল দেখতে পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এ ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলায়। এসব নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন জেলা রিটার্নিং অফিসার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় দলীয় পদ-পদবি, দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার, দলীয় স্লোগান ব্যবহার না করার ব্যাপারে স্পষ্টত বলে দিয়েছেন।’
মোতালেব তালুকদার জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা। আর দলের প্রধান শেখ হাসিনা। সেক্ষেত্রে আচরণবিধি অনুযায়ী কেবলমাত্র নৌকা ছাড়া শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে যুক্ত করে অন্য কোনো ছবি দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বাইরে প্রচারণা চালানো আচরণবিধি লঙ্ঘন। আর যেখানে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেই তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এই চিত্র ব্যবহার করে ভোট প্রার্থনা করেছেন, সেহেতু আচরণবিধি অবশ্যই লঙ্ঘন হয়েছে বলেও তার দাবি।
মোতালেব তালুকদার আরও বলেন, এছাড়া মাহবুবুর রহমান যেহেতু দলের পদে আছেন, সেক্ষেত্রে তিনি দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছেন। আমরা সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব এবং সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বরাবরও লিখত অভিযোগ দেব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কলাপাড়া ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কোনো দলের প্রধানের ছবি ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না। কেউ এ ধরনের কাজ করলে সেটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়বে। প্রার্থী নিজে তার ফেসবুক আইডিতে এ ধরনের চিত্র পোস্ট করে থাকলে সেটি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ বিষয়ে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘অন্য কেউ পোস্ট করতে পারে, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।’
পটুয়াখালী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে প্রেরণ করা হবে, বিষয়টি তারা দেখবেন।