টঙ্গীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর উঠান বৈঠকের প্রবেশ ফটকে ছাত্রলীগের তালা
টঙ্গী পশ্চিম ও শিল্পাঞ্চল (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
গাজীপুরের টঙ্গীতে গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের নির্বাচনী উঠান বৈঠকের প্রবেশ ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক সেলিম খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের নেতৃত্বে ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠে।
এ ঘটনায় উঠান বৈঠকে আসা স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে তারা ফটকের তালা ভেঙে উঠান বৈঠকস্থলে প্রবেশ করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলিম উদ্দিন বুদ্দিন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম নেতাকর্মীদের নিয়ে সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত উঠান বৈঠকের উদ্দেশ্য রওনা দেন।
এ খবর পেয়ে টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল মাঠে প্রবেশের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলে যায়। এ সময় তারা উঠান বৈঠকের জন্য টাঙানো মাইকের তার এবং বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরে নেতাকর্মীরা ফটকের সামনে এসে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ফটকের তালা ভেঙে মাঠে প্রবেশ করে উঠান বৈঠকে অংশ নেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান গেটে তালা মারার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা গেটে তালা দেইনি। মাঠে যাতে কোনো হকার প্রবেশ করতে না পরে সেজন্য গেটে সরকারি কলেজের নিরাপত্তাকর্মীরা তালা দিয়েছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী কলেজ কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের কোনো অনুমতি নেয়নি। বরং তারা গেটের তালা ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেছে এবং কলেজের বেশ কিছু জানালা ভাঙচুর করেছে।
যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের মিটিংয়ে ছিলাম। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে প্রার্থীরা যেকোনো সুবিধাজনক স্থানে নির্বাচনী উঠান বৈঠক করতে পারেন। প্রার্থীদের ১৮ তারিখের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে কোনো প্রকার প্রশাসনিক অনুমতির প্রয়োজন হয় না।