গরুর হাট নিয়ে দুই উপজেলার মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৭ এএম
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা বাজারে গরুর হাট বসানো নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার দুপুরে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
যুক্তিখোলা বাজারটি জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার নশরতপুর এবং লালমাই উপজেলার যুক্তিখোলা ও আজবপুর গ্রামে অবস্থিত।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন— নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাকিব (১৮), একই গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে মাসুম (২১), আব্দুল আজিজের ছেলে ফজলুল হক (২৪), সাইফুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (২৮), আরব আলীর ছেলে মোবারক (৩০), জিতু মিয়ার ছেলে লিটন (২৫) ও লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে সেলিম (৪০), বাহার উদ্দিনের ছেলে রুবেল (২৩), যুক্তিখোলা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মহিন (২৪) একই গ্রামের মোহাম্মদ জীবন (১৮)।
আহতদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং গুরুতর আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গরুর হাটটির উভয়পক্ষের কারও অনুমোদন নেই বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল হক, লালমাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন সুলতানা এবং উভয় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গরু বাজার দুটি বন্ধ করে দেয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার গরুর বাজারগুলোর মধ্যে যুক্তিখোলা গরুর হাট অন্যতম। চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসানো যাবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর থেকে গরুর বাজার নিয়ন্ত্রণকারী গ্রুপ ও লালমাই উপজেলার বেলঘর গ্রামের আজবপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন একই বাজারে দুটি গরুর হাট বসানো শুরু করে। এ নিয়ে নাঙ্গলকোট ও লালমাই উপজেলার স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এর জেরে সোমবার গরুর হাট বসা নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)আশরাফুল হক বলেন, বাজারটি নিয়ে যেহেতু দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষকে বাজার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) যে সিদ্ধান্ত দেবেন। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।