বগুড়া-১ আসনে নৌকাবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী লিপি কোটিপতি
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১৪ এএম
বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে নৌকার মাঝি হতে শাহাজাদী আলম লিপি কিছুদিন ধরে এলাকায় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। সভাগুলোতে তিনি দাবি করতেন একটি জেলার সব এমপি তার পকেটে থাকে।
নিজেই তার এসব বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেন। বলতেন, তিনি এমপির লোভে নয়; জনগণের সেবা করতে রাজনীতিতে আসতে চান। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতেন, অবশ্যই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নৌকার টিকিট বঞ্চিত হয়েছেন। হলফনামা অনুসারে তিনি কোটিপতি।
বগুড়ার সায়িয়াকান্দির হাটশেরপুরের তাজুরপাড়া গ্রামের শহীদুল্লাহ মণ্ডলের মেয়ে শাহাজাদী আলম লিপি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম মেধা এন্টারপ্রাইজ।
নির্বাচনি হলফনামায় আয়ের উৎসের বিবরণে কৃষিখাত থেকে বছরে নিজে ৫০ হাজার ২০০ টাকা ও স্বামী চার লাখ ৫৮ হাজার টাকা আয় করেন। তিনি বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/ দোকান ভাড়া পান তিন লাখ ৬০ হাজার ও স্বামীর আয় ছয় লাখ এক হাজার ২০০ টাকা। স্বামী চাকরি থেকে পান, নয় লাখ ৩৫ হাজার ৭৬০ টাকা।
লিপি অন্যান্য খাতে আয় করেন, ৫৭ হাজার ৯৬৬ টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৫ টাকা। আর স্বামীর নগদ টাকা দুই কোটি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩০৮ টাকা। ব্যাংকে জমা ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৫ টাকা ও স্বামীর ৪১ হাজার ৯৭১ টাকা। তার নিজের ১০ তোলা ও স্বামীর ৫০ তোলা স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু রয়েছে। নিজের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ৩০ হাজার ও স্বামীর এক লাখ চার হাজার টাকা আছে।
লিপির আসবাবপত্র রয়েছে, ২০ হাজার টাকার ও স্বামীর এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের।
লিপির ৪৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ২৫৯.৬০ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে। স্বামীর রয়েছে, চার লাখ টাকা মূল্যের ১২১৪ শতাংশ জমি। তার লাখ ২৬ হাজার ১০ হাজার ২৪০ টাকা মূল্যের ১০১.৫৭ শতাংশ অকৃষি জমি ও স্বামী মিলনের এক কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ২৮০ টাকা মূল্যের ২৫২.৫৩৬ শতাংশ অকৃষি জমি আছে।
তার বগুড়ায় জেলায় হেবা সূত্রে একটি পাঁচতলা দালাল, একটি নির্মাণাধীন দালান ও তিনটি দোকান রয়েছে। যার মূল্য সাত লাখ ৪২ হাজার টাকা। স্বামীর হেবা সূত্রে পাওয়া একটি পাঁচতলা বিশিষ্ট দালাল, একটি আধপাকা দালাল রয়েছে।
এসব প্রসঙ্গে বগুড়া-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি বলেন, তিনি ব্যবসা করেন। আর ব্যবসা থেকে কোটিপতি হয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তার কোনো টাকা ব্যয় হয় না। স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা এ ব্যয় বহন করে থাকেন।