Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েই বেপরোয়া আসাদের সমর্থকরা, মাছ লুট

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ পিএম

আ.লীগের মনোনয়ন পেয়েই বেপরোয়া আসাদের সমর্থকরা, মাছ লুট

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবী সমিতির ইজারা নেওয়া বিলের মাছ লুট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে মোহনপুর উপজেলার বিল মাইল শুঁটকি বিলে এ ঘটনা ঘটে।

এ নিয়ে মোহনপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া বিল ইজারা গ্রহণকারী সমিতির সভাপতি অনিল কুমার শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলে ধরেছেন। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

অনিল কুমার বলেন, তাদের মৎস্যজীবী সমিতির নাম বড়দেওপুর মেলান্দি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। মোহনপুরের ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ৩৭ একর আয়তনের এ বিলটি গত বছর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তারা এ সমিতির নামে ছয় বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন প্রায় ৮ লাখ টাকায়। এ বিলেরই প্রায় চার লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নেই বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিনের বাড়ি। তারা আয়েন উদ্দিনের সমর্থক। এবার সংসদ নির্বাচনে আয়েন উদ্দিন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। মনোনয়ন পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। এরপর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন আসাদের সমর্থকরা। তার ৫০-৬০ জন সমর্থক বৃহস্পতিবার সকালে বিল থেকে জোর করে মাছ মেরে নিয়ে যায়। পরে তিনি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ আসে। তবে এর আগেই তারা পালিয়ে গেছে। পরে থানায় গিয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অনিলের অভিযোগ, নৌকার প্রার্থীর সমর্থক আফজাল হোসেন বকুলের নেতৃত্বে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। বকুল ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আফজাল হোসেন বকুলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, তিনি একটি সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন। এ বিষয়ে একটু পরে কথা বলবেন।

মোহনপুর থানার ওসি হরিদাস মণ্ডল বলেন, ‘মাছ লুটের একটা অভিযোগ থানায় এসেছে। তবে সরেজমিন গিয়ে লুটের মতো বিষয় আমাদের কাছে মনে হয়নি। এলাকায় বিল আছে, গ্রামের লোকজন মাছ মেরেছে।’

ওসি বলেন, ‘মৎস্যজীবী সমিতি বিলের ৩৭ একর ইজারা নিয়েছে, কিন্তু বিল তো অনেক বড়। পানিতে সব ঢেকে আছে। এখন কোন ৩৭ একর ইজারা নেওয়া, সেটা তো আমরা বলতে পারব না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম