‘বিনা চিকিৎসায়’ রামেকে বিএনপি নেতার মৃত্যু, জানাজা সম্পন্ন
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম
নাটোর কারাগারে অসুস্থ হয়ে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জেলার সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ সোহেলের (৪৪) মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এক কন্যাসন্তানের জনক এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ন্দহ মহিলা কলেজের প্রদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর আদালত তাকে (এ কে আজাদ সোহেল) জামিন দেয়। পরে কারাগারে তাকে নিয়ে আসতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায় এ কে আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোহেলকে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দায় বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষ মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।
মৃতের বড় ভাই শামীম হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে আমার ভাইকে গ্রেফতার করে জেলে ভরে রাখে পুলিশ। নাটোর জেলে অসুস্থ হয়ে সে রাজশাহীতে মারা গেল।
শুক্রবার তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে সে স্ট্রোক করে; কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে এই নেতার মৃত্যু হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মুশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতা মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে আমরা তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিল।
মৃত এ কে আজাদ সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিল কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরহামেশাই অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেওয়া তখন হয়তো জরুরি মনে হয়নি।