Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিক্সন-আজাদসহ ফরিদপুরের সব আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী

Icon

জাহিদ রিপন, ফরিদপুর

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম

নিক্সন-আজাদসহ ফরিদপুরের সব আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থী

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের ৪টি সংসদীয় আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতা-সমর্থক।

এদের মধ্যে ফরিদপুর সদর নিয়ে গঠিত আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, ফরিদপুরের ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসন থেকে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, নগরকান্দা-সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন থেকে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া, বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও কাঞ্চন মুন্সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

সূত্র জানায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার বাসভবনে একে আজাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার ঘোষণা দেন।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থিতা ঘোষণা করে এ কে আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ চায়, তিনি যেন নির্বাচন করেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ কে আজাদ বলেন, ফরিদপুর একটি অবহেলিত অঞ্চল। এ অঞ্চলের শিক্ষা ও শিল্প নিয়ে কাজ করবেন তিনি। বিশেষ করে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য শাহ আলম, ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন, বদিউজ্জামান প্রমুখ।

এর আগে ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এ আসন থেকে মনোনয়ন কিনেছিলেন ২ জন। একজন হলেন কাজী জাফরউল্লাহ আর অপরজন হলেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্যাহকে।

নিক্সন চৌধুরী নির্বাচন করবেন জানিয়ে তার সমর্থক ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে নির্বাচন করতে সমস্যা নেই। মজিবুর রহমান এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া গত কয়েক দিন আগে ভাঙ্গায় এক উঠোন বৈঠকে নিক্সন চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন।

অপরদিকে নগরকান্দা-সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া। তিনি এ আসনে নির্বাচন করার জন্য দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে প্রার্থী হিসেবে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের নাম ঘোষণা করা হয়। এ আসন থেকে মোট ৮ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন।

নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমি এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে বাধা দেওয়া যাবে না বরং সহযোগিতা করতে হবে। এমন ঘোষণা দিয়েছে হাইকমান্ড। জনগণের ওপর আমার আস্থা আছে। এলাকার জনগণ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসাই আমার শক্তি। তাছাড়া গত উপনির্বাচনে আমি দলের স্বার্থে আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এ বিষয়টি এলাকার জনগণ জানে।

এছাড়া বোয়ালমারী মধুখালী আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে আলফাডাঙ্গার সন্তান কাঞ্চন মুন্সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তার কর্মী সমর্থকেরা মনে করেন তিনি এলাকার মানুষের সুখে-দুখে কাজ করেছেন। এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াস সদস্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান। এ আসন থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক মোট ২২ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।

স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার বিষয়ে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, দীর্ঘ একযুগ চেষ্টা করেছি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে। তাদের ইচ্ছায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। মহান আল্লাহ সহায় থাকলে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও ভোটের মধ্য দিয়ে আমি বিজয়ী হতে পারব। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম