রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষার পাশের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০২০ সালে শতভাগ শিক্ষার্থী অটোপাশের পর এটি সর্বনিম্ন পাশের হার। গত বছর ৮১ দশমিক ৬০ এবং ২০২১ সালে ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছিল। বোর্ডের চার কলেজে কেউ পাশ করেনি।
রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এবারের ফল প্রকাশ করা হয়।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম জানান, এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৮০ জন পাশ করেছে।
পাশের হারে এবারো ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। ছেলেদের পাশের হার ৭৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর মেয়েদের পাশের হার ৮৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ২০২০ সালের অটোপাশ বাদ দিলে ২০১৭ সাল থেকেই পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে এই বোর্ডের মেয়েরা।
এবার মোট ১১ হাজার ২৫৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৪৪৫ জন ছাত্র এবং ৫ হাজার ৮১৩ জন ছাত্রী। তিন বছরের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়ার হার এবার সর্বনিম্ন। আগের তিন বছরে ২১ হাজার ৮৫৫ জন, ৩২ হাজার ৮০০ জন এবং ২৬ হাজার ৫৬৮ জন করে পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়। গত তিন বছরের মতো এবারো জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে মেয়েরা।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, পরীক্ষা চলাকালে এবার ১১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ৭৪৯টি কলেজের পরীক্ষার্থীদের ২০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবার ৩৭টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে।
চারটি কলেজের একজন পরীক্ষার্থীও পাশ করেনি। কলেজগুলো হলো- পাবনার চাটমোহরের চাটমোহর আর সি এন অ্যান্ড বি এস এন পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাজশাহীর গোদাগাড়ীর আরশাদ আলী মেমোরিয়াল কলেজ, তানোরের মুণ্ডুমালা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ সদরের জুয়েলস অক্সফোর্ড কলেজ।
চাটমোহরের কলেজটিতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ জন। গোদাগাড়ীর আরশেদ আলী কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল দুইজন। অন্য দুই কলেজের একজন করে পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের সবাই ফেল করেছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, এবার বোর্ডের ফলাফল মোটামুটি সন্তোষজনক। কোন পরীক্ষার্থীর তার ফলাফল নিয়ে আপত্তি থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে খাতা পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে ফলাফল পরিবর্তনেরও সম্ভাবনা থাকে।
তিনি বলেন, যে চার কলেজের কেউ পাশ করেনি, তাদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।