ফরিদপুরে চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন নেতা মনোনয়নপত্র কিনেছেন। নৌকার মাঝি হতে শেষ সময়ে দলীয় হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অনেকে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লা, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকানে চলছে আলোচনা। কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে তর্কবিতর্কের পাশাপাশি যার যার পছন্দের প্রার্থীদের এগিয়ে রাখতে চলছে আলোচনা।

দলীয় সূত্র জানায়, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ১১ জন। বর্তমান সংসদ-সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একে আজাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বিপুল ঘোষ, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল হক (ভোলা মাস্টার), ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ফারুক হোসেন, পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সাইফুল আহাদ সেলিম, ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সত্যজিৎ মুখার্জি, বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের সহসভাপতি এম ইদ্রিস আলী, ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফরহাদ কবির।

ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ২২ জন। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুবারের সংসদ-সদস্য আব্দুর রহমান, সাবেক সংসদ-সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত মিয়া, লায়ন সাখাওয়াত হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব পুন্ড্র সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. লুৎফর রহমান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির কমিটির সাবেক সদস্য ডা. গোলাম কবীর, যুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বখতিয়ার রহমান বতু, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. খায়ের মিয়া, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক শেখ আব্দুর রহিম ও ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি মাজারুল ইসলাম টুকু ও খিজির আহমেদ।

ফরিদপুর-২ আসনে (নগরকান্দা-সালথা) মনোনয়ন চান আটজন। তারা হলেন-বর্তমান সংসদ-সদস্য শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সেনা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) আতমা হালিম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুস সোবহান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, জেলা মহিলা লীগের সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম, আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. ছাব্বির হোসেন, ফরিদপুর জেলা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব।

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে মনোনয়ন চান দুজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ-সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও বর্তমান সংসদ-সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক বলেন, দল যাকে মনোনীত করবে তাকে বিজয়ী করতে সবাই একসঙ্গে কাজ করে যাব।