মাদক র্যাগিং হুমকি মারধরের অভিযোগ, খুবির ১০ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০২ পিএম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) মাদক, র্যাগিং ও শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন শিক্ষার্থীকে আর্থিক জরিমানা এবং চারজন শিক্ষার্থীকে একাধিক টার্ম বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি একাডেমিক কাউন্সিলে কয়েকজন শিক্ষার্থী শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেছে বলে মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের সাইফ নেওয়াজ, মো. সুমন রহমান, সানজিদা আফরিন ময়ূরী, মো. নূর আলম, মো. বনি আমিন, ব্যবসায়ী প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মুহাম্মদ জারিফ, হিজবুল্লাহ তামিম, মো. কাবিরুল ইসলাম বিন্দু, সন্দীপ পাল এবং মোজতাবা ফাহিম। মাদকদ্রব্যসহ হাতেনাতে ধরা পড়া, শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত, গালিগালাজ ও হুমকি, সিআর এবং এসিআরকে মানসিক হয়রানি, অনেক রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঠে আটকে রাখা, অভিভাবকের নিকট র্যাগিং সংস্কৃতির পক্ষে উপস্থাপনসহ নানান অভিযোগে গত ১৫ নভেম্বর দুপুরে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জানা যায়, নগ্রাপ ডিসিপ্লিনের মোজতাবা ফাহিম, সন্দীপ পাল এবং কাবিরুল ইসলামের কাছে মাদকসহ হাতেনাতে ধরা পড়ার কারণে সবাইকেই দুই টার্ম বহিষ্কার, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, ব্যবসায়ী প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মুহাম্মদ জারিফ এক শিক্ষার্থীর বুকে লাথি মারা এবং ইট ছুঁড়ে মাথায় আঘাত করার অভিযোগে দুই টার্ম বহিষ্কার এবং ১০ হাজার টাকা, একই ডিসিপ্লিনের হিজবুল্লাহ তামিমকে শিক্ষার্থীকে মারধরের জন্য ডেকে নিয়ে আসার অভিযোগে সতর্কীকরণ, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের সাইফ নেওয়াজের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ ও মানসিক হয়রানির কারণে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, একই ডিসিপ্লিনের সানজিদা আফরিন ময়ূরীর বিরুদ্ধে গালিগালাজ, ছেলেমেয়েদের অনেক রাত পর্যন্ত মাঠে আটকে রাখা ও হুমকির অভিযোগে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, মো. নূর আলমের বিরুদ্ধে গালিগালাজ, হুমকি, সিআর ও এসিআরকে হয়রানির অভিযোগে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং সুমন রহমান ও মো. বনি আমিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ ও হুমকির অভিযোগে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া প্রত্যেকের অভিভাবককে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ হাজির হয়ে মুচলেকা দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন মঙ্গলবার দুপুরে যুগান্তরকে জানান, গত বছরে মাদকসহ হাতেনাতে শিক্ষার্থীকে আটক এবং সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিষয় তদন্ত কমিটি তদন্ত করেন। তাদের তদন্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে গত ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের দশজন শিক্ষার্থীকে শাস্তির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী শাস্তি কমানোর জন্য আবেদন করেছে। তবে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।