Logo
Logo
×

সারাদেশ

গাজীপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য একজনেরই ১২ ডিলারশিপ

Icon

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০৭ পিএম

গাজীপুরে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য একজনেরই ১২ ডিলারশিপ

গাজীপুর মহানগরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য একটি ওয়ার্ডে এক ব্যক্তি তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের নামে অন্তত ১২টি ডিলারশিপ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এসব ডিলারশিপ তিনি একাই পরিচালনা করেন। যেখানে গাজীপুর সদর উপজেলায় দেওয়া হয়েছে সাতটি লাইসেন্স সেখানে নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের মধ্যেই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আটটি। আর পুরো বাসন থানায় দেওয়া হয় ১৫টি লাইসেন্স। এ ঘটনায় টিসিবির চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন টিসিবির একজন ডিলার।

অভিযোগ রয়েছে, ফখরুল আলম রনি নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়ে একাই নিয়ন্ত্রণ করেন অন্তত ২৫টি ডিলার পয়েন্ট। রনি তার মা, ভাই, মামা, মামাতো ভাই, আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবের নামে ১২ টিসিবি লাইসেন্স করান। আর এগুলোর সবকটির নিয়ন্ত্রণ করেন রনি নিজে। মেসার্স ফিরোজা আলম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফকরুল আলম রনি নিজে। আর একই ওয়ার্ডের রনির মা ফিরোজা আলমের নামে ডিলারশিপ নিয়েছেন মেসার্স জারা সারা এন্টারপ্রাইজ নামে। মেসার্স হাকিম এন্টারপ্রাইজ তার মামার নামে এবং মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজ, মিয়া এন্টারপ্রাইজ, মা-বাবা স্টোর-এসব প্রতিষ্ঠান রনির মামাতো ভাইয়ের নামে টিসিবির লাইসেন্স নেন। এরকম প্রায় ১২টি প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স নিয়ে একজনই পরিচালনা করছেন টিসিবির পণ্য।

‘মেসার্স সীমান্ত ট্রেডার্স’ নামে একটি টিসিবির ডিলারের ব্যবসা পরিচালনা করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামীমা আক্তার শিমু। তিনি অভিযোগ করেন চলতি বছর ২৩ জুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন। তার এ ব্যবসাটি পরিচালনার জন্য ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফকরুল আলম রনি নামে এক ব্যক্তি ডিলার শিমুকে প্রস্তাব করেন তার লাইসেন্স দিয়ে সে টিসিবি পণ্য উঠাবে। শিমু তাতে রাজি না হওয়ায় শিমুর ফার্মের বিরুদ্ধে বেনামে একটি অভিযোগ দেওয়া হয় টিসিবির কাছে। যা পরবর্তীতে তদন্ত করা হলে শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

অভিযোগে জানা গেছে, ফকরুল আলম রনির বড় এক ভাই যিনি টিসিবি বাণিজ্যিক শাখার পরিচালক। রনির আপন ফুফু টিসিবির সিএসএস শাখার একজন কর্মকর্তা ডিলার নিয়োগের সব কাগজপত্র প্রসেসিং করেন। তাদের পরিচয়ে রনি প্রভাব বিস্তার করে টিসিবির ডিলার বাণিজ্য করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ডিলার শামীমা আক্তার শিমু। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ডিলারের সাথে তাদের যোগাযোগ করে ফকরুল আলম রনি ও তার ভাই শান্ত সব ডিলারের পক্ষে টিসিবির গুদাম থেকে মালামাল সংগ্রহ করেন। এছাড়াও আরও অনেক ডিলারের মালামাল সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের সিন্ডিকেটের কারণে কোনো সাধারণ ডিলার এখানে কাজ করিতে পারছেন না। ফকরুল আলম রনি সিন্ডিকেটের আরো অন্তত ৩০টি ডিলারশিপের আবেদন টিসিবির দপ্তরে জমা আছে। এসব বিষয়ে অভিযুক্তদের মোবাইল কললিস্ট ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট তদন্ত করা হলে এর সত্যতা মিলবে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মেসার্স ফিরোজা আলম এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ফকরুল আলম রনি বলেন, এখানে ডিলাররা যার যার লাইসেন্সে ব্যবসা করেন। একজন ঠিকাদারের পণ্য অন্য ঠিকাদার উত্তোলন করতে পারেন না। তবে, তিনি প্রতিনিধির মাধ্যমে টিসিবির মালামাল উত্তোলন করতে পারেন। তিনি টিসিবিতে কোনো প্রভাব বিস্তার করেননি। তার কোনো আত্মীয়-স্বজনও টিসিবিতে চাকরি করেন না। তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম