Logo
Logo
×

সারাদেশ

পটিয়া মাদ্রাসায় দুপক্ষের অনড় অবস্থান, বাড়ছে উত্তেজনা

Icon

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১২ পিএম

পটিয়া মাদ্রাসায় দুপক্ষের অনড় অবস্থান, বাড়ছে উত্তেজনা

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ কওমি মাদ্রাসা চট্টগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ নিয়ে দুই পক্ষের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দিন দিন আতংক বাড়ছে। 

মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজার কাছ থেকে পদত্যাগ পত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও গত ২৮ অক্টোবর মাদ্রাসা থেকে করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ দৃশ্যত মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। 

মহাপরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজাকে স্বপদে বহালের দাবিতে মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন যানবাহনযোগে পটিয়ায় এসেছেন শত শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। তারা পটিয়া কলেজ মাঠে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ওবায়দুল্লাহ হামজাকে স্বপদে বহালের দাবি জানান। 

এ সময় মাদ্রাসার ভেতরে ওবায়দুল্লাহ হামজার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মাইকে নানা ধরণের বক্তব্য দেন তার বিপক্ষের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। উত্তেজনা দেখা দিলে সাজোয়া যান নিয়ে পুলিশ রণ প্রস্তুতি নেয়। শেষ পর্যন্ত বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। 

জানা গেছে, পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালককে নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দিন দিন উত্তপ্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে বড় সংঘর্ষের আশংকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

পটিয়া থানা পুলিশ ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ ডাকবাংলো, মাদ্রাসা গেইট ও পটিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অবস্থান নেয়। এদিন সকাল থেকে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সাজোয়া যানসহ অবস্থান নেয়। 

মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজার পক্ষের লোকজন পটিয়া কলেজ মাঠে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। মাদ্রাসায় মাইক লাগিয়ে মহাপরিচালক বিরোধীপক্ষ মাদ্রাসার ভেতরে অবস্থান নেয়। 

চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে শত শত ছাত্র-শিক্ষক পটিয়া কলেজ মাঠে গণ অবস্থান নেন। এতে চট্টগ্রাম ১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দীন নদভীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। 

মাদ্রাসার মহাপরিচালকের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও বের করে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা ইত্তেহাদ বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানান। 


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম