দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অসময়ে ভাঙন
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাট এলাকায় অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ৬নং ঘাটটিসহ সংলগ্ন এলাকার দেড় শতাধিক পরিবার ও স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে ৬নং ফেরি ঘাটের পাশে নদী ভাঙন শুরু হয়। এ সময় প্রায় ৫০ ফুট জায়গা নদীগর্ভে চলে যায়। এছাড়া আরও অন্তত ২শ ফুট এলাকায় ফাটল ধরেছে। যে কোনো সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আগামীতে সামান্য ঢেউ কিংবা স্রোতে এখানে বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। নদী পাড়ের মুদি দোকানদার বারেক মৃধা বলেন, আর একটি চাপ ভাঙলে আমার বসতবাড়ি ও দোকান নদীগর্ভে চলে যাবে। তিনি দুঃখ করে বলেন, ইতোপূর্বে দুবার আমার বাড়িঘর পদ্মা নদীতে বিলীন হয়। বর্তমানে এই জায়গায় কোনো রকমে বসবাস করার পাশাপাশি দোকানদারি করছি।
এদিকে ঘাট এলাকায় অসময়ে নদী ভাঙন শুরু হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ভাঙন প্রতিরোধে কোনো কাজ শুরু করেনি। বেশ কয়েকবছর পার হয়ে গেলেও ঘাট আধুনিকায়ন ও নদী শাসনের কাজও শুধু আলোচনাতেই রয়ে গেছে। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা অঞ্চলের উপ-প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম বলেন, ৬নং ঘাটটি অত্যন্ত খাড়া। নদীর পানি কমে যাওয়ায় সেখানে নিচ থেকে কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ সরে গিয়ে নদী পাড়ের প্রায় ৪৫/৫০ ফুট এলাকা ভেঙে পড়ে গেছে এবং অনেকটা এলাকায় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন করে আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। তার নির্দেশনা পেলে আমরা শিগগিরই সেখানে কাজ শুরু করব।
ঘাট আধুনিকায়ন ও নদী শাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার জানা মতে বুয়েট হতে সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে একনেকে পাঠানো হয়েছে। একনেক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে দ্রুতই কাজ শুরু করা যাবে।