নাব্য সংকট
আবার বন্ধ হলো চিলমারী-রৌমারী ফেরি পারাপার
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তবে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি, বিআইডব্লিউটিএ-এর গাফিলতি এবং চ্যানেল ড্রেজিংয়ে অবহেলার কারণে প্রায়ই এমন দুর্ভোগ হচ্ছে। এর ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ফেরির জন্য অপেক্ষা করা পণ্যবাহী পরিবহণের চালক ও শ্রমিকরা।
জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ-এর উদ্যোগে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর। উদ্বোধনের পর দেড় মাসের অধিক সময় নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন ধরনের পরিবহণ পারাপার করে আসছে। প্রতি ট্রিপে ফেরি কুঞ্জলতা ৮/৯টি, বেগম সুফিয়া কামাল ১২/১৩টি ও কদম ৮/৯টি পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করতে পারে। এর মধ্যে বেগম সুফিয়া কামালকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি হঠাৎ কমে যাওয়ায় নাব্য সংকট দেখা দেয়। বিআইডব্লিউটিএ যথাযথভাবে ফেরি চলাচলের চ্যানেল ড্রেজিং (খনন) না করায় ফেরি আটকে গিয়ে অক্টোবরের শেষের দিকে ৩-৪ দিন ফেরি পারাপার বন্ধ ছিল। সামান্য ড্রেজিংয়ের পর ফেরি চালুর ১০ দিনের মাথায় নাব্য সংকটের অজুহাতে শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফেরি বন্ধ থাকায় পার হতে আসা অন্তত ২০টি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত চলে গেলেও ২০টির অধিক ট্রাককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে সময়মতো পার হতে না পারায় ঘাট এলাকার রাস্তায় ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষমাণ পরিবহণ শ্রমিকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
শনিবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুদিন ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী পরিবহণ ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এ সময় ভুরুঙ্গামারী থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো. সোহেল মিয়া, বুড়িমারী থেকে আসা রবিউল ইসলাম, পঞ্চগড় থেকে আসা আকরাম হোসেনসহ অনেকে বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ২০টির মতো ট্রাক ফিরে গেছে। চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ৫ দিন ধরে ঘাটে আছি, ফেরি চলে না, যেতেও পারছি না।
বিআইডব্লিউটিএ-এর ম্যানেজার (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ৩টি করে ট্রাক নিয়ে যেতেও ফেরি আটকে যাচ্ছে। চ্যানেল ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান থাকায় সাময়িকভাবে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিং হয়ে গেলে আবার ফেরি চলাচল করবে।