Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঘুস নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার ট্রাফিক সার্জেন্ট এবার তদন্তের মুখোমুখি

Icon

কিশোরগঞ্জ ব্যুরো

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম

ঘুস নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহার ট্রাফিক সার্জেন্ট এবার তদন্তের মুখোমুখি

এক মোটরসাইকেলচালকের কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে প্রত্যাহারকৃত কিশোরগঞ্জের ট্রাফিক সার্জেন্ট বিএম শফিউর রহমান এবার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। ভুক্তভোগী মোটরসাইকেলচালকের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার তাকে প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আল আমিন হোসাইন জানান, কায়েস মিয়া নামে এক মোটরসাইকেলচালক পুলিশ সুপার বরাবর মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাফিক সার্জেন্ট বিএম শফিউর রহমানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রাথমিকভাবে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, কায়েস মিয়া নামের ওই মোটরসাইকেলচালক পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বহলিয়া গ্রামের অধিবাসী।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালি যাওয়ার উদ্দেশে সকাল সাড়ে ৯টায় বের হন। সকাল সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের জেনারেল সদর হাসপাতাল এলাকার বটতলা মোড় ট্রাফিক বক্সের সামনে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নামে তার গতিরোধ করে ট্রাফিক পুলিশ। তখন তার সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মামলার ভয় দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা দাবি করা হয় তার কাছে। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তখন তার কাছে এত টাকা না থাকায় কিছু টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ুন তাকে পুলিশ বক্সে নিয়ে বাড়ি থেকে ৪ হাজার টাকা আনাতে বলেন। একপর্যায়ে তিনি ওই কনস্টেবলকে ৫০০ টাকা দেন। তখন ট্রাফিক সার্জেন্ট শফিউর রহমানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় মোটরসাইকেলচালক কায়েস বাধ্য হয়ে বাড়িতে থাকা তার প্রতিবন্ধী ভাইকে ফোন দিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিকাশ নম্বরে এক হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। তার ভাই ফয়েজ মিয়া টাকা পাঠানোর পর নগদ ৫০০ ও বিকাশে এক হাজারসহ মোট দেড় হাজার টাকা দেওয়ার পর তার মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘুসের জন্য এমনভাবে নাজেহাল হওয়ার পর তিনি পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম