চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল
দেড় সপ্তাহ ধরে বন্ধ ফটক, ভোগান্তিতে রোগী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ এএম
ছবি: যুগান্তর
দেড় সপ্তাহ ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ফটক। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাসপাতালে আসা রোগী আর স্বজনরা। অদৃশ্য কারনে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ৯ তলা বিশিষ্ঠ আধুনিক নতুন ভবনের মূল ফটক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের আবাসকি চিকিৎসক নাজির আহমেদ। শুধু তাই নয় জনসাধারণের চলাচলের জন্য পাশ্ববর্তী ছোট ফটকটিও তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে হাসপাতাল গিয়ে দেখা গেছে ওই ফটক এবং তার আশপাশ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে অটোরিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনের গ্যারেজ। এনিয়ে হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে কথা বললেও কেউ ফটক বন্ধের কারণ বলতে পারেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানার পরও বিষয়টি নিয়ে করছেন ঠেলাঠেলি।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রবেশ করা যানবাহনগুলো গ্যারেজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে ফটকটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া ওই ফটক ঘিরে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স চক্রকে গাড়ি রাখার সুবিধা করে দিতে সুকৌশলে ফটকটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কেউ কেউ বলছেন পাশ্ববর্তী ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে আরএমও নাজির আহমেদের। কিছু সংখ্যক ঔষধ ফার্মেসী এবং বেসরকারী ক্লিনিকগুলোর সুধিবা করে দিতেই ফটক বন্ধ রেখেছেন তিনি।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে রোগী এবং তার স্বজনরা বারবার সেই ফটক দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সেসময় কথা হয় কয়েজন রোগীর স্বজনদের সঙ্গে। তারা অভিযোগ করেন, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মূল ফটকটি দূর থেকে বোঝা যায়না যে বন্ধ রয়েছে। ফলে জরুরী ঔষুধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দ্রুত নিয়ে যেতে বাঁধা এবং হয়ানির শিকার হচ্ছি, রোগীর দ্রুত সেবা প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া দূরবর্তী অন্য ফটকটি দিয়ে অনেকদূর পথ ঘুরে ৯ তলা বিশিষ্ঠ আধুনিক নতুন এই ভবনে প্রবেশ করতে হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতেলর পুরো চত্ত্বর জুড়ে গ্যারেজের মত যানবাহন রাখায় গুরুতর রোগীদের হাসাপাতালে নিয়ে আসতে ভোগান্তীতে পোহাতে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে আরএমও ডা. নাজির আহমেদের সঙ্গে কথা বলতে তার চেম্বারে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে ফটক বন্ধের বিষয়ে কথা বলতে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং এবিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে অপরগতা জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২’শ ৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ তিনিও অপরাগতা প্রকাশ করে আবাসকি চিকিৎসক নাজির আহমেদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। পরে সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, হাসপাতালের ফটক বন্ধ করার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি এবিষয়ে খোঁজ নিবেন। হাসপাতালের দায়িত্বে না থাকায় বিষয়টি নিয়ে তিনি হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের সঙ্গে কথার অনুরোধ করেন।