জামায়াত-বিএনপির অবরোধ চলাকালে মিছিল থেকে ছোড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে স্বেচ্ছাসেবলীগ নেতার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় আহত হন ওই নেতা। কিন্তু দলীয় নেতাকর্মীরা তার খোঁজখবর নেননি। এজন্য ক্ষোভে নিজের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নাম মঈন দেওয়ান (৩০)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘর এলাকার ইব্রাহিম দেওয়ানের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি চন্দ্রার মইন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। নিজেকে তিনি কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পরিচয় দেন।

মঈন দেওয়ান জানান, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন সন্ধ্যায় চন্দ্রার পল্লী বিদ–্যৎ এলাকায় অবরোধকারীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়ে। এতে তিনি আহত হন ও তার টয়োটা ব্র্যান্ডের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনদিন পার হলেও দলের কোনো নেতা তার খোঁজখবর নেননি। এমনকি  ফোনেও যোগাযোগ করেননি। তাই মনের ক্ষোভে নিজের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

মঈন তিনি বলেন, এতদিন ধরে রাজনীতি করি কোনদিন একটি টাকাও কোনো নেতার কাছ থেকে নেইনি। দলের পিছনে যে সময় দিয়েছি, পরিবারকেও এতো সময় দেইন। ছাত্রলীগ করেছি, স্বেচ্ছাসেবক লীগ করছি। ছোট্ট একজন কর্মী হিসেবে রাস্তায় নির্যাতনের শিকার হলেও কেউ খবর নেয়নি। আমার কারও প্রতি রাগ, ক্ষোভ নেই। তাই নিজের ওপর রাগ করে গাড়ি পুড়িয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন সরকার বলেন, মইন দেওয়ানের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আপনি তার কাছ থেকে জেনে নেন।