হিলিতে সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যাপেড ভ্যালু অর্থাৎ আমদানি মূল্য নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। যার ফলে এখন থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানিতে গুনতে হবে ৮০০ মার্কিন ডলার। এতে অতিরিক্ত ৬০০ ডলার বেশি গুনতে হবে আমদানিকারকদের। তবে এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো এলসি হয়নি। তবুও আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি মোকামে গিয়ে দেখা যায়, পূজার ছুটির পর বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দরে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বন্দরে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে বন্দরে দাম বৃদ্ধিরর ফলে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও কমিশন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চার প্রদেশের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ইন্দোর, সাউথ, নাসিক ও নগর রাষ্ট্রের পেঁয়াজ। ভারতীয় ১৫ ট্রাকে সাড়ে ৩শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, পূজার ছুটির পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে ভারত সরকার ন্যাপেড ভ্যালু বৃদ্ধি করে দিয়েছে। যার ফলে পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেকেই বলে পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বৃদ্ধি করা হয় আসলে এ কথা সঠিক না। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল, বেশি দিন স্টকে রাখলে তা পচে নষ্ট হবে।