Logo
Logo
×

সারাদেশ

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, মোবাইল ফোনে চলে কেনাবেচা

Icon

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার, মোবাইল ফোনে চলে কেনাবেচা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেওয়ানগঞ্জে যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকার চলছে। এতে মাছটির প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

চরাঞ্চলের লোকজন জানান, দিনের বেলায় ইলিশ না ধরলেও সারা রাত চলে শিকার। জেলেরা এখন মোবাইল ফোনে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারিত স্থানে গোপনে মাছ কেনাবেচা করছেন। সোয়া থেকে দেড় কেজি ওজনের ডিমওয়ালা মা ইলিশ ৭-৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্রেতা যুগান্তরকে জানান, নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই ৫-৬শ টাকা অগ্রিম দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বড় ডিমওয়ালা ইলিশ কিনেছেন তারা। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে। 

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে যেকোনো ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। ২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও গোপনে বিপুল পরিমাণ ধরা হচ্ছে মা ইলিশ।

খোলাবাড়ী এলাকার এক মাদ্রাসাশিক্ষক জানান, জেলেরা এখন আর বাজারে মাছ বিক্রি করেন না। গ্রামে গ্রামে গিয়ে ফেরি করে ইলিশ মাছ বিক্রি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৎস্যজীবীরা বলেন, ‘ইলিশ না ধরলে আমরা কি কইরা খামু। আমরা কিছু পাই নাই। তাই রাতের বেলায় চুরি কইরা ইলিশ ধরি।’ 

সোমবার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিউল আলম যুগান্তরকে জানান, দেওয়ানগঞ্জের জেলেরা ইলিশ ধরেন না। পাশের বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও গাইবান্ধার ফুলছড়ি এলাকার জেলেরা মা ইলিশ ধরছেন। দেওয়ানগঞ্জে ২ হাজার ৭১৪ জন জেলেকে জনপ্রতি ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম