গোপালপুরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণের অভিযোগ
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:১০ পিএম
গোপালপুরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণের ঘর ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে ঘুস আদায় ও টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হলে স্থানীয় বাসিন্দা গাজীবুর রহমান ও তার ছেলে ফজলুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ওই ইউপি সদস্য। আদালত তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে মাহবুবুল আলম (৫০)। ভুক্তভোগীরা মেম্বারের কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর চাপের মুখে তিনি কয়েকজনকে টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানা যায়। বাকিদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার আলমনগর গ্রামের ভূমিহীন সুলতানের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৮) আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে পলিথিনে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে ৩ ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। আশ্রয়ণের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন ওই ইউপি সদস্য। পরে ছয়মাস আগে ঋণ করে ৫ হাজার শোধ করলেও ঘর না পাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্প নয়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির ভাতা ও কার্ড ছাড়াও কর্মসৃজন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সেই ইউপি সদস্য মাহমুবুল আলম জানান, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করার জন্য এ সব বানোয়াট কথা প্রচার করতেছে। আমি কারও কাছ থেকে ১০টি টাকাও নেইনি। আমাকে টাকা দিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। যদি প্রমাণ মেলে তবে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসফিয়া সিরাত জানান, এ সব ভাতার বিপরীতে কোনো ধরণের আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নাই। কখনো কখনো এ ধরণের অভিযোগ পাই। প্রত্যেকটি বিষয় খতিয়ে দেখব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।