চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজসংলগ্ন শিশুপার্কের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জমি বুঝে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং ও রাকিবুল ইসলাম উপস্থিত থেকে সোমবার পার্কের মূল ফটক সিলগালা করে দেন। পরে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরকে স্থাপনাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
৩১ বছর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) শিশুপার্কের জমিটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে লিজের শর্ত ভঙ্গের কারণে জমিটি বুঝে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং যুগান্তরকে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে যেসব শর্তে জমিটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল তার ব্যত্যয় ঘটায় শিশুপার্কটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
চসিকের আগ্রহে ১৯৯২ সালের ১৩ জুলাই তিন একর জমিতে শিশুপার্ক স্থাপন করে নগর সংস্থাটিকে অনাপত্তি দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে ১৯৯৪ সালে ঢাকার প্রতিষ্ঠান ‘ভায়া মিডিয়া বিজনেস সার্ভিসেস লিমিটেড’কে ২৫ বছরের জন্য জমিটি ইজারা দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ওই ইজারার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ১৫ বছরের জন্য একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পার্কের জমিটির ইজারা চুক্তি নবায়ন করে নগর সংস্থা। তখন চসিকের মেয়র ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এরপর ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পার্কটি অপসারণের দাবিতে ‘নাগরিক উদ্যোগ’ নামের একটি সংগঠন মানববন্ধন করেছিল। ওই সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। চসিকের প্রশাসক হিসাবে ছয় মাসের দায়িত্ব পালনকালে সুজনও পার্কটি বিকল্প স্থানে সরানোর উদ্যোগ নেন।