Logo
Logo
×

সারাদেশ

বগুড়ায় পূজামণ্ডপে সহায়তার চালে সিন্ডিকেটের থাবা

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম

বগুড়ায় পূজামণ্ডপে সহায়তার চালে সিন্ডিকেটের থাবা

বগুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজায় সরকারে দেওয়া জিআর চালে সিন্ডিকেট সদস্যরা থাবা বসিয়েছে। জেলার ৬৯৬ মন্দিরে ৫০০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়া হলেও প্রতিটি মন্দির কমিটিকে চালের পরিবর্তে টাকা দেওয়া হয়েছে। মন্দিরপ্রতি দুই থেকে চার হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

প্রভাবশালী সিন্ডিকেটে জড়িতরা ২০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিলেও কমিটির নিরীহ নেতারা প্রতিবাদ করার সাহস করেননি। এর মধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত ৪৫টি মন্দির থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, সরকার চলতি শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে জেলার ৬৯৬ মন্দিরে ৫০০ কেজি করে জিআর (গ্রাটিয়াস রিলিফ) চাল বরাদ্দ দেয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারের সব সহায়তায় রাজনৈতিক সিন্ডিকেট সদস্যরা থাবা দিয়ে থাকেন। তিনি জানান, পূজায় যে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিকেজির বাজার মূল্য ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় নির্মল জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে সরকার ৫০০ কেজি করে চাল দিয়েছে। মন্দির কমিটিগুলো চালগুলো বিক্রি করে দেয়। তারা ১৬ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুকুমার চন্দ্র সরকার জানান, মন্দিরে চাল বা টাকা দেওয়ার বিষয়টি সভাপতি জানেন। 

সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত বলেন, সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট নিয়ে লেখালেখি না করে ‘টাকা খাওয়ার’ জন্য সরকারের সহায়তার চালের পেছনে লেগেছে। তিনি বলেন, কোনো অনিয়ম করা হয়নি। 

নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম