Logo
Logo
×

সারাদেশ

এসিল্যান্ডের ঘুস কাণ্ডে ৪ তহশিলদারকে বদলি

Icon

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০৮ পিএম

এসিল্যান্ডের ঘুস কাণ্ডে ৪ তহশিলদারকে বদলি

পিরোজপুরের নাজিরপুরের এসিল্যান্ডের ঘুস কাণ্ডের ঘটনায় ৪ তহশিলদার ও সহকারী তহশিলদারকে বদলি করা হয়েছে।   

উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা ডাক্তার সঞ্জিব দাশ সোমবার ওই তহশিলদার ও সহকারী তহশিলদারদের বদলি ও অবমুক্তের  তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, রোববার বিকালে (২২ অক্টোবর) ওই তহশিলদারদের অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর জেলা প্রশাসক কর্তৃক এক আদেশে তাদের জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বদলি করা হয়।  

উপজেলা মালিখালী ইউনিয়নের তহশিলদার সন্তোষ কুমার মন্ডলকে জেলার কাউখালী উপজেলার আমড়াঝুড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দেউলবাড়ি দোবরার এসএম মিজানুর রহমানকে কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া, দীর্ঘার এম জাকির হোসেনকে নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ও শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের সাখাওয়াত হোসেনকে নেছারবাদ উপজেলার গুয়ারেখা ইউনয়িনের ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।   

এছাড়া এর আগে গত ২৪ অক্টোবর উপজেলার অন্য ৪ তহশিলদার ও সহকারী তহশিলদার এবং পরে দুই কর্মচারীকে জেলার বাহিরে বদলি করা হয়। 

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তহশিলদাররা মিউটেশনের জন্য আসা সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কেসপ্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা করে ঘুস নিতেন। এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান গত ৮ জুন নাজিরপুরে যোগদানের পর ওই ঘুসের টাকা কমিয়ে ৬ হাজার টাকা করেন এবং ওই টাকা থেকে তিনি ৪ হাজার টাকা করে দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তহশিলদাররা তাকে ঘায়েল করতে ওই অডিও ফাঁস করেন। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কয়েক কর্মচারী তাদের চাকরির শুরু থেকে অদ্যাবধি একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন। এতে তারা সেখানে ব্যাপক প্রভাব ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। ভূমি সেবাকে   দুর্নীতিমুক্ত করতে ওই সব কর্মচারীদেরও অন্যত্র বদলি করা জরুরি বলে তাদের দাবি।   
 
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মো. মাসুদুর রহমান কর্তৃক নিজ অফিসে বসে তার সাথে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তহশিলদারদের সঙ্গে নামজারির জন্য ঘুসের টাকা নির্ধারণের একটি কথোপকথন হয়। পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

ওই অডিওতে জড়িত থাকা এসিল্যান্ডের প্রধান সহযোগী হিসাবে শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের সাখাওয়াত হোসেনের নাম উঠে আসে। সাখাওয়াত হোসেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘদিন শাস্তিতে রয়েছেন। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম