জাহাঙ্গীরকে দলে ফেরানো নিয়ে যা বললেন আজমত উল্লা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে শর্তসাপেক্ষে সাংগঠনিকভাবে ক্ষমা করা হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত হয়ে দলে ফেরায় আগামী দুই বছর জাহাঙ্গীর কোনো পদ–পদবি পাবেন না বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
তিনি বলেন, বহিষ্কৃত হয়ে দলে ফেরায় আগামী দুই বছর তিনি কোনো পদ-পদবি পাবেন না। তারপরও কেন্দ্রীয় কমিটির যদি কোনো নির্দেশনা থাকে, সেটা হতে পারে।
আজমত উল্লা আরও বলেন, তাকে দল প্রাথমিক সদস্যপদ দিয়েছে। তাই এটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা সেন্ট্রাল আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত। তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে আবার আওয়ামী লীগ দলে নিয়েছে। এটা আহামরি কিছু না। তিনি আমাদের কাছে বুদ্ধি-পরামর্শ চাইলে দেব। তিনি যেখানে কাজ করতে চান, সেখানেই কাজ করতে পারবেন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই অডিওতে তাকে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ লোক শহীদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে শোনা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
পরে বেশ কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর তাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে দলীয় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়।
তবে কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটে প্রার্থী হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ মে তাকে পুনরায় আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। পাঁচ মাস পর দ্বিতীয় দফায় তাকে ক্ষমা করল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতোপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। সেই সূত্রে আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো।’
ভবিষ্যতে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয় চিঠিতে।